Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

পাট ক্ষেতে সার, পানি, আগাছা ও বালাইব্যবস্থাপনা

পাট উৎপাদনে জমি নির্বাচন থেকে শুরু করে সব ধরনের পরিচর্যা সময়মতো সম্পন্ন করতে হয়। পাটের ভালো ফলনের জন্য সার, পানি, আগাছা ও ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


সার ব্যবস্থাপনা : সারের সঠিক মাত্রা নির্ধারণের জন্য মাটির উর্বরতা শক্তি পরীক্ষা করা প্রয়োজন। মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে জমিতে কোন সার কতটুকু প্রয়োজন তা সঠিকভাবে জানা যায়। এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, পাটের জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করলে সাধারণ ফলনের চেয়ে একরপ্রতি ১০.৫ মণ বা বিঘাপ্রতি ৩.৫ মণ বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব।


পাট ফসলে ইউরিয়া সার দুই কিস্তিতে এবং অন্যান্য সার এক কিস্তিতে জমি তৈরির শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হয়। জমিতে গোবর সার ব্যবহার না করলে দেশি পাটে শেষ চাষের সময় একরপ্রতি ৩৩ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি টিএসপি, ১২ কেজি এমওপি, ১৮ কেজি জিপসাম এবং ৪.৫ কেজি জিংক সালফেট ভালোভাবে জমিতে মিশিয়ে বীজ বপন করতে হবে। একইভাবে তোষা পাটে একরপ্রতি ৪০ কেজি ইউরিয়া, ২১ কেজি টিএসপি, ২৪ কেজি এমওপি, ৩৮ কেজি জিপসাম এবং ৪.৫ কেজি জিংক সালফেট প্রয়োগ করে জমি তৈরি করতে হবে। পাট ফসলের বয়স ৪০-৪৫ দিন পর ২য় কিস্তির ইউরিয়া সার উপরিপ্রয়োগ করতে হবে। উপরিপ্রয়োগের সময় লক্ষ রাখতে হয় যেন মাটিতে পর্যাপ্ত রস থাকে। ইউরিয়া সার উপরিপ্রয়োগের আগে নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার ও মাটি ঝুরঝুরে করে দিতে হবে। উপরিপ্রয়োগকৃত ইউরিয়া যেন গাছের কচিপাতা বা ডগায় লেগে না থাকে সেজন্য সার ছিটানোর পর পাট কাঠি অথবা অন্য কিছু দিয়ে পাতায় বা ডগায় লেগে থাকা সার সরিয়ে দিতে হবে।  উল্লেখ্য, প্রখর রৌদ্র বা বৃষ্টির সময় ইউরিয়া সার উপরিপ্রয়োগ না করাই ভালো।


জমিতে গোবর সার প্রয়োগ করলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই বীজ বপনের ২-৩ সপ্তাহ আগে গোবর সার প্রয়োগ করে চাষ ও মই দিয়ে মাটির সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। প্রতি একর জমিতে ৪৫-৬০ মণ গোবর সার ব্যবহার করলে দেশি পাটে শেষ চাষের সময় একরপ্রতি শুধু ১২ কেজি ইউরিয়া এবং তোষা পাটে ১৮ কেজি ইউরিয়া, ৪.৫ কেজি এমওপি, ২০ কেজি জিপসাম প্রয়োগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও গাছের বয়স ৪০-৪৫ দিন হলে ২য় কিস্তিতে ইউরিয়া দেশি পাটে একরপ্রতি ৩৩ কেজি এবং তোষা পাটে ৪০ কেজি উপরিপ্রয়োগ করতে হবে।


পানি ব্যবস্থাপনা :  বৃষ্টি না হলে জমিতে জোঁ অবস্থা আনার জন্য অনেক সময় হালকা সেচের  প্রয়োজন হয়। পাট বৃষ্টিনির্ভর ফসল হওয়ায় পরবর্তীতে আর সেচের প্রয়োজন হয় না। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নালা কেটে জমিতে জমা পানি বের করে দিতে হবে। কেননা পাট ফসল দাঁড়ানো পানি সহ্য করতে পারে না। তাছাড়া পাটের জমিতে অতিরিক্ত রস থাকলে আগাছার প্রকোপ বেড়ে যায়, ফলে নিড়ানির খরচ বেশি হয়। আবার প্রচ- খরা দেখা দিলে জমিতে হালকাভাবে সেচ দেয়া প্রয়োজন।  জমিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে প্রয়োগকৃত সার পাটগাছ ঠিকমতো গ্রহণ করতে পারে না। ফলে ফসলের  বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। সেচের পর জোঁ অবস্থা বুঝে নিড়ানি দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে দিতে হয়। এতে জমিতে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত রস জমা থাকে এবং পাট গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।


আগাছা ব্যবস্থাপনা : আগাছা যেকোনো ফসলের চরম শত্রু। আগাছা পাট ফসলের খাদ্যে ভাগ বসায়, সেজন্য ইহা মাটি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য উপাদান গ্রহণ করতে পারে না। ফলে ফসলের বৃদ্ধি দারুণভাবে ব্যাহত হয় এবং ফলন কমে যায়। বাংলাদেশের এলাকাভেদে প্রায় ১৩০ প্রজাতির আগাছা জন্মাতে দেখা যায়। এদের মধ্যে ২৭টি প্রজাতি আগাছা হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং ৭টি প্রজাতি পাট ফসলের বেশি ক্ষতি করে। এজন্য পাট ফসল বপনের আগেই জমি ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে নিতে হবে। জমিতে আগাছা দেখা দিলে সময়মতো দমনের ব্যবস্থা করতে হবে। সময়মতো আগাছা দমন না করা হলে নিড়ির খরচ অনেক বেড়ে যায়। পাটের আবাদে যে খরচ হয় তার একটি বড় অংশই নিড়ানির জন্য হয়ে থাকে। শস্য বিন্যাসে পরিবর্তন করেও আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যেমন আলুর জমিতে পাট চাষ করলে নিড়ানির খরচ অনেক কমে যায়। পাট ফসল বপনের ৩০ দিনের মধ্যে চারা কিছুটা পাতলা করে ১ম নিড়ানির দিতে পারলে আগাছার প্রকোপ অনেক কম হয় এবং গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। তবে ৪৫-৫০ দিনের মধ্যে অবশ্যই প্রথম নিড়ানির কাজ শেষ করতে হবে। পরবর্তীতে আগাছার  মাত্রা বুঝে ৭০-৮০ দিনের মধ্যে ২য় নিড়ানির দিতে হবে। মোট কথা পাট ফসলে সময়মতো  আগাছা দমন করা খুবই গুরুত্বর্পূণ।


পাট মূলত গ্রীষ্মকালীন ফসল। এ সময় পরিবেশের তাপমাত্রা ও বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে। এই আবহাওয়ার কারণে পাট ফসলে বিভিন্ন রকম রোগ দেখা দেয়। প্রতি বছর নানা ধরনের রোগের আক্রমণে পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। ক্ষতির পরিমাণ শতকরা ২০-৪০ ভাগ পর্যন্ত  হতে পারে। মূলত ছত্রাক, ভাইরাস ও কৃমিকীট দ্বারা রোগগুলো সৃষ্টি হয়। সময়মতো রোগ নির্ণয় ও দমনের ব্যবস্থা করে পাটকে রক্ষা করা যেতে পারে।


এ পর্যায়ে পাটের বিভিন্ন রোগ নিয়ে আলোচনা করব।
চারা-মড়ক :  বীজ বপনের পর প্রথম অবস্থায় যে রোগ দেখা দেয় তা হচ্ছে চারা মড়ক। পাট গাছে যখন ১ ইঞ্চি থেকে ৪-৫ ইঞ্চি লম্বা হয় তখন এ রোগ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত চারার গোড়ায় কালো দাগ ধরে চারা মারা যায়। এটি এক ধরনের ছত্রাকবাহিত রোগ। জমিতে এ রোগ ব্যাপকভাবে দেখা দিলে ডাইথেন এম-৪৫ প্রতি লিটার পানিতে ১০ গ্রাম মিশিয়ে চারা গাছে ছিটিয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া পটাশ সার জমিতে প্রয়োগ করে ভালোভাবে জমি নিড়িয়ে দিলে রোগ কম হয়। জমি যেন ভেজা স্যাঁতসেঁতে ও পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।


ঢলে পড়া রোগ : এ রোগে গোটা গাছ ঢলে পড়ে ও মরে যায়। ছোট ও বড় উভয় অবস্থায় পাটগাছ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। ফুল আসার সময় থেকে তোষা পাটে এ রোগ বেশি হয়। আক্রান্ত জমিতে পানি থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। গাছের গোড়া পরিষ্কার রাখতে হবে। আক্রান্ত ক্ষেতে ২-৩ বছর তোষা পাটের পরিবর্তে দেশি পাটের আবাদ করা যেতে পারে।


কাণ্ড পচা রোগ : পাটের সবচেয়ে ক্ষতিকর রোগ হলো কাণ্ড পচা রোগ। এ রোগের কারণে শতকরা ৫০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত ফলন কমে যেতে পারে। এটি একটি ছত্রাকঘটিত রোগ। চারা যখন ৬-৮ ইঞ্চি লম্বা হয় তখন থেকে শুরু করে পূর্ণবয়স পর্যন্ত পাটগাছ এ রোগে আক্রান্ত হয়। গাছের পাতা ও কা-ে গাঢ় বাদামি রঙের দাগ দেখা দেয়। এ দাগ গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত যেকোনো অংশে দেখা দিতে পারে। ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দাগি জায়গাগুলোতে অসংখ্য কালো বিন্দু দেখা যায়। এ কালো বিন্দুগুলোতে ছত্রাক জীবাণু থাকে। এরা বাতাসে বা বৃষ্টির পানির মাধ্যমে আশপাশের গাছে সংক্রমিত হয়। কখনো আক্রান্ত স্থানে গোটা গাছই ভেঙে পড়ে।


কালো পট্টি রোগ : কালো পট্টি রোগের লক্ষণ প্রায় কাণ্ড পচা রোগের মতোই। তবে এতে কাণ্ডে কালো রঙের বেষ্টনীর মতো দাগ পড়ে। আক্রান্ত স্থানে ঘষলে হাতে কালো গুঁড়ার মতো দাগ লাগে। সাধারণত গাছের মাঝামাঝি বয়স থেকে এ রোগ বেশি দেখা যায়।


শুকনা ক্ষত রোগ : এ শুধু দেশি পাটে দেখা যায়। চারা অবস্থায় এ রোগ চারা মড়কের সৃষ্টি করে। বড় গাছের কাণ্ডে কালচে দাগ পড়ে। আক্রান্ত স্থান ফেটে যায়। এ রোগে আক্রান্ত গাছ মরে না, তবে আক্রান্ত অংশ শক্ত হয়। তাই পাট পচানোর পরেও আক্রান্ত স্থানের ছাল পাটকাঠির সাথে লেগে থাকে। এর ফলে আশ নিম্নমানের হয়।
কাণ্ড পচা, শুকনা-ক্ষত ও কালো পট্টি এ তিনটি রোগই বীজ, মাটি ও বায়ুবাহী। তাই এদের প্রতিকারের ব্যবস্থাও একই রকমের।


১. পাট কাটার পর জমির আগাছা আবর্জনা ও পরিত্যক্ত গাছের গোড়া উপড়িয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
২. বীজ বপনের আগে বীজ শোধন করতে হবে। বীজ শোধনের জন্য ভিটাভ্যাক্স-২০০ (প্রতি কেজি বীজে ৪ গ্রাম) এর ব্যবহার যথেষ্ট সুফল দেয়। এ ছাড়া কাঁচা রসুন বাটা দ্বারা বীজ শোধন করা যায়। সেক্ষেত্রে ১২৫ গ্রাম বাটা রসুন ১ কেজি পাটবীজে মিশিয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। শোধন করা সম্ভব না হলে বপনের আগে বীজ কড়া রোদে শুকাতে হবে।
৩. জমিতে চারা অবস্থা থেকে শুরু করে পূর্ণ অবস্থা পর্যন্ত যখনই রোগের প্রকোপ দেখা দেবে তখনই রাসায়নিক ওষুধ ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ডাইথেন এম-৪৫ গুলিয়ে ৩-৪ দিন পর পর ২-৩ বার করে জমিতে ছিটাতে হবে।
৪. রোগমুক্ত পাটগাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।
৫.জমিতে সব সময় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
আগা শুকিয়ে যাওয়া রোগ : ঝড়ে বা অন্য কোনো কারণে গাছে আঘাত লাগলে এ রোগ বেশি হতে পারে। রোগে আক্রান্ত অংশ বাদামি রঙের হয় এবং আগা থেকে নিচে শুকাতে থাকে। ফুল আসার পর সচরাচর এ রোগ দেখা দেয়। তোষা পাটে এ রোগ বেশি হয়। রোগ দেখা দিলেই ডাইথেন এম-৪৫ নামক ছত্রাকনাশক ওষুধ ২০ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে গুলিয়ে ২/৩ দিন পরপর অন্তত ২ বার গাছে স্প্রের করতে হবে।

 

গোড়া পচা রোগ : যেসব দেশি পাটের ক্ষেতে পানি নিষ্কাশন করা যায় না, সেসব স্থানে গাছের পরিণত বয়সে সাদা তুলার আঁশের মতো এক ধরনের ছত্রাক গাছের গোড়ায় রাতারাতি বেড়ে ওঠে। দিন কয়েক পর সরিষার দানার মতো বাদামি রঙের জীবাণুর দানাও দেখা যায়। এ রোগের ফলে গাছের গোড়া পচে যায় এবং গাছ ভেঙে যায়। জমিতে এ রোগ দেখা দিলে গাছ কেটে আঁশ সংগ্রহ করা উচিত। ডাইথেন এম-৪৫ প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৩৫-৪০ গ্রাম মিশিয়ে গাছের গোড়ায় পর পর দুইদিন প্রয়োগ করলে রোগের ব্যাপকতা কমে যায়।


শিকড়ে-গিট রোগ : এ রোগে আক্রান্ত গাছের শিকড়ে ছোট-বড় অনেক গিট দেখা যায়। এ গিটের ভেতর এক প্রকার কৃমিকীট বা নেমাটোড অবস্থান করে এবং গাছের ক্ষতি করে। এ রোগের কারণে গাছের বাড় কমে যায় এবং ফুল কম ধরে। এ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাসায়নিক ওষুধ ফুরাডান-৫ প্রতি হেক্টরে ৪০ কেজি হারে প্রয়োগ করে নিড়ানি এবং চূড়ান্তভাবে গাছ পাতলা করে দিতে হবে।


পাতার হলদে সবুজ ছিট পড়া পাতার মোজাইক রোগ : মোজাইক আক্রান্ত পাট গাছ থেকে সংগৃহীত বীজ বপনের ফলে এ রোগ হয়ে থাকে। গাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে পাতায় হলুদ-সবুজ ছিট দাগ পড়ে। আক্রান্ত গাছের বাড়-বাড়তি কমে যায় এবং আঁশের পরিমাণ শতকরা ৫০ ভাগ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। পরাগায়ণের মাধ্যমে এবং সাদা মাছি নামক এক ধরনের ছোট মাছির মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে থাকে। জমিতে আক্রান্ত চারা দেখা মাত্র গোড়াসহ উপড়ে ফেলতে হবে। সাদা মাছি মরার জন্য মাঝে মাঝে পাটক্ষেতে ডায়াজিন-৫০ প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১৫ মিলিলিটার পরিমাণ ওষুধ ৩০-৪০ দিন বয়সের গাছে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার ছিটাতে হয়।
 

পাতায় সাদা গুঁড়া পড়া : পাতার ওপর হালকা পাউডারের মতো অসংখ্য ছাতা রোগের জীবাণু থাকে। এ রোগ পাট মৌসুমের শেষে বীজ সংগ্রহের জন্য রাখা পাট গাছে দেখা যায়। রোগের লক্ষণ দেখা মাত্রই থিওভিট বা কোনো গন্ধক জাতীয় ওষুধ ৩০ গ্রাম প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ছিটানো উচিত।

 

কৃষিবিদ মোঃ জ্যাবলুল তারেক

বিজ্ঞানী ও পাট গবেষক, পাটের কৃষি পরীক্ষা কেন্দ্র, জাগীর, মানিকগঞ্জ, মোবাইল : ০১৭২২-৭৪৮২২৪, ই-মেইল :zablulbarj@gmail.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon